২০১৮-১৯ কেন্দ্রীয় বাজেট
সুচনা
ডাউনলোড লিঙ্ক একদম নিচে দেওয়া আছে
পোস্টটি যদি কাজে আসে তো উপরে শেয়ার বাটনে ক্লিক করতে হবে কিন্তু
১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্যে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৪.৪২ লক্ষ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। ৩.৩ শতাংশ হারে রাজকোষ ঘাটতি ধরে ৬,২৪,২৭৬ কোটি টাকা ঋণের মাধ্যমে মেটানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এবারের বাজেটে কৃষি, সামাজিক ক্ষেত্র, ডিজিটাল লেনদেন, পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ওপর সরকারের বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের সিদ্ধান্তই প্রতিফলিত হয়েছে। একই সঙ্গে আর্থিক বিচক্ষণতার কথাও ভাবা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৭-১৮ অর্থবর্যের তুলনায় ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা বাড়িয়েছে। রাজকোষ ঘাটতির হার ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ সংশোধিত অনুমানের ওপর জাতীয় আয়ের ০.২ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ৩.৩ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখা যাবে বলে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আশা প্রকাশ করেছেন। ২০১৪ সালের মে-তে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় দেশের রাজকোষ ঘাটতির হার ছিল অত্যন্ত বেশি। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ছিল। জাতীয় আয়ের ৪.৪ শতাংশ। ২০১৪ সাল থেকেই এই লক্ষ্যে সরকার আর্থিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ৪.১ শতাংশ থেকে ৩.৯ শতাংশে। কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে এই ঘাটতি আরো কমে ৩.৫ শতাংশ হয়েছে। সরকার আর্থিক ব্যয়ের ব্যাপারে বিচক্ষণতার লক্ষ্যে ফিসক্যাল রিফর্ম অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান.. সুপারিশগুলি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ ও জাতীয় আয়ের অনুপাত ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ধরে রাখার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত আয়কর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ১০% সারচার্জ (৫০ লক্ষের বেশি কিন্তু ১ কোটির কম আয়ের ক্ষেত্রে।) ১৩ ৪০,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন রিটান, পুনরায় আনা হল। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হল মোট করযোগ্য আয় থেকে থেকে টাকা কর ছাড় বাবদ বাদ দিয়ে করের হিসেব। চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বৃদ্ধির হার ৭.২ থেকে ৭.৫ শতাংশ হতে পারে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম ৩ বছরে গড় বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ। দেশের অর্থনীতির পরিমাণ ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি। শীঘ্রই বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবনা
২০১৮-১৯ সালের বাজেটে কৃষি ও গ্রামোন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি ও গ্রামোন্নয়নে যে সমস্ত উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল— |
১. ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
২. খারিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন ব্যয়ের দেড়গুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সম্পূর্ণটাই কৃষকের হাতে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে
৩. আলোচনা করে নীতি নির্ধারণ করবে নীতি আয়োগ।
৪. প্রতিষ্ঠানিক কৃষিঋণ ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে ১১ লক্ষ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫. ৮৬ শতাংশ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ২২,০০০ গ্রামীণ হাটকে গ্রামীণ কৃষি বাজারে উন্নীত করা হবে। » কৃষিজ পণ্য উৎপাদনকারী যে সমস্ত সংস্থার বার্ষিক আয় ১০০ কোটি
টাকা পর্যন্ত, তারা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে আগামী ৫ বছর লাভের উপর ১০০ শতাংশ করছাড় পাবে।
৬. কৃষিজ পণ্যের বাজার তৈরির জন্য ২,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আলু, পেঁয়াজ, টম্যাটো-সহ বিভিন্ন সবজির দামের ওঠানামা বন্ধ করতে ‘অপারেশন গ্রিন চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৭. ‘অপারেশন গ্রিন’ খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।
৮. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ১,৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৯.বাঁশ উৎপাদন ও বাঁশ নির্ভর শিল্পের উন্নয়ন, মৎস্য চাষ ও পশুপালনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
১০. বাঁশ উৎপাদন ও বাঁশ নির্ভর শিল্পের উন্নতির জন্য ন্যাশনাল বা মিশন’ প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ১,২৯০ কোটি টাকা।
১১. মৎস্য চাষ ও পশুপালন খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০,০০০ কোটি টাকা
২. স্বাস্থ্য
১. আর্থ সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের ১০ কোটি পরিবারকে জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা বা ন্যাশনাল হেলথ প্রোটেকশন স্কিমের আওতায় আনা হবে।
২. দরিদ্র পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হেলথ কভারেজ দেওয়া হবে। এর ফলে দেশের ৫০ কোটি মানুষ এই সুবিধা পাবেন। পরে ‘আয়ুষ্মন ভারত প্রকল্পের আওতায় পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো যাবে।
৩. ১.৫ লক্ষ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে’ রূপান্তরিত করা হবে। গ্রাম, মফস্বল ও শহরতলিতে বাড়ির কাছেই যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে অসুবিধা না হয় তাই এই উদ্যোগ।
৪. জেলা হাসপাতালগুলির মাননান্নয়নে ২৪টি নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করা হবে। প্রতি ৩টি লোকসভা কেন্দ্র পিছু ১টি করে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হবে। ৫. মৌলিক স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১,২০০ কোটি টাকা।
৬. যক্ষ্মা রোগীদের পুষ্টিগত সহায়তা প্রদানে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। গ্রামাঞ্চলে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ফি বছর অনেকেই মারা যায়। মৃত্যুর হার কমাতে এই উদ্যোগ। চিকিৎসা চলাকালীন যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীরা মাসিক ৫০০ টাকা করে পাবেন।
৭. আগামী অর্থবর্ষে সারা দেশে ২ কোটি নতুন শৌচালয় নির্মাণ করা হবে।
৮. গ্রামীণ পরিচ্ছন্নতা ও স্বচ্ছতার জন্য থাকছে ‘গগাবর্ধন যোজনা’
৮. গ্রামীণ পরিচ্ছন্নতা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৬,৭১৩ কোটি টাকা।
৯. দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ জনগণকে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় আনতে ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে ৩৩০ কোটি টাকার প্রিমিয়াম দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
১০. বেতন-সহ ২৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সেস ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
৩. কর
১. ২০১৮-১৯ অর্থবর্যে আয়করের ঊধ্বর্বসীমা ও স্তরে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
২. এবারের বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ২০০৬-০৭ অর্থবর্ষে এই পদ্ধতি তুলে নেওয়া হয়েছিল।
৩. ভ্রমণ ও চিকিৎসা খরচ বাবদ বিল জমা দিলে চাকুরিজীবীরা যে টাকা পান তার জন্য স্ট্যান্ডার্ড.ডিডাকশন হিসেবে তাদের বাৎসরিক আয় থেকে ৪০,০০০ টাকা কেটে নেওয়া হবে।
৪. এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় নতুন কর্মীদের ক্ষেত্রে সরকারি জমার পরিমাণ ৩ বছরের জন্য আগের চেয়ে বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৫. প্রথম ৩ বছর কর্মীদের বেতনের ১২ শতাংশ ইপিএফ-এ জমা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ব্যবস্থা সমস্ত কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রযোজ্য হবে।
৬. মহিলা চাকুরিজীবীদের জন্য তাদের বেতনের ১২ শতাংশ থেকে কমে ই পি আফ ৮ % জমা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়ছে ।
৪. পরিকাঠামো
১. যে কোনো দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধির চালক হল পরিকাঠামো ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বাজেটে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল—
১. ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ৫.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা। বরাদ্দ করা হয়েছে।
২. আগামী অর্থবর্ষে ৯,০০০ কিলােমিটারের বেশি জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
৩.দেশের প্রত্যন্ত, পিছিয়ে পড়া এলাকা ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিকে যুক্ত করতে অনুমোদিত ভারতমালা প্রকল্পের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
৪. প্রথম দফায় ভারতমালা প্রকল্পে ৩৫,০০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর জন্য খরচ হবে ৫.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা।
৫. সড়ক নির্মাণের জন্য ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ‘স্পেশ্যাল পারপাস ভেহিকেল’ গঠনের কথা বিবেচনা করেছে।
৬. ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া পশ্চিমবঙ্গে ২,০০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ করবে।
৫ বিমান পরিবহন
১. সড়ক, স্মার্টসিটি আভ্যন্তরীণ জলপথ বিকাশের সঙ্গে আঞ্চলিক বিমান যােগাযােগ প্রকল্প ‘উড়ান’-এর মাধ্যমে দেশের ৫৬টি অব্যবহৃত বিমানবন্দর ও ৩১টি হেলিপ্যাডের ব্যবহার করা হবে।
২. বিমান বন্দরগুলির যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা ৫ গুণের বেশি বাড়িয়ে বছরে ১০০টি উড়ান শুরুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
৬. রেল
১. ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রেল নিরাপত্তার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
২. ২০১৮-১৯ অর্থবর্যে রেলের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, ১,৪৮,৫২৮ কোটি টাকা।
৩. প্রতি ট্রেনে Wi-Fi ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সিসিটিভির নজরদারি ছাড়া যাত্রী স্বাচ্ছন্দের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৪. খুব শীঘ্রই ৪,০০০ কিলোমিটার লাইনের বৈদ্যুতিকরণ করা হবে। চলতি অর্থবর্ষে ৩,৬০০ কিলোমিটারের বেশি রেললাইনের সংস্কার করা হবে।
৫. আগামী বছরে সারা দেশের ৪,২৬৭টি প্রহরিহীন লেভেল ক্রসিং পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৬. ট্রেনের নিরাপত্তা, কুয়াশার সময় যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য এবং বিপদের পূর্বাভাস দিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৭. চলতি বর্ষে ন্যূনতম ২৫,০০০ যাত্রী সংখ্যা হলেই সেই স্টেশনে এসকালেটর বসানো হবে।
৮. গুজরাটের বদোদরায় রেলওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৯. অত্যাধুনিক মানের ট্রেন-১৮ ও ট্রেন-২০ নামে দুটি ট্রেন নির্মাণ করা হবে। সেগুলি তৈরি করা হবে চেন্নাই ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে।
১০. চলতি বাজেটে ১২,০০০ ওয়াগন, ৫,১৬০টি কোচ, প্রায় ৭০০টি লোকোমোটিভ পেতে চলেছে ভারতীয় রেল।
১১. রেলের লাইন পরিষ্কার রাখতে এবং স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিকে সফল করতে প্রতি ট্রেনে বায়োটয়লেটের সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১২. ৬০০টি স্টেশনের মানোন্নয়ন করা হবে।’
১৩. ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে মুম্বাই রেলের জন্য ১১,০০০ কোটি টাকা এবং বেঙ্গালুরু মেট্রোর জন্য ১৭,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে শহর ও শহরতলির ১৫০ কিলোমিটার রেল পথে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭,০০০ কোটি টাকা।
৭. শিক্ষা
১. শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাক প্রাথমিক থেকে দাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সসংহ কোর্সের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
২. আদিবাসী শিশুদের তাদের নিজ পরিবেশে সেরা শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করতে ২০১২ সালের মধ্যে দেশের যে সমস্ত ব্লকে ৫০ শতাংশ বেশি তপশিলি জনসংখ্যা রয়েছে বা ২০,০০০ আদিবাসী বসবাস করেন সেখানে একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদায় হবে। সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা ও সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামোয় বিনিয়োগের জন্য বিশেষ উদ্যোগে ‘বিত নয়াস্বাকচার অ্যান্ড সিস্টেম ইন এডুকেশন (RISE) চালু করা হবে। RISE খাতে আগামী ৪ বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা
হবে। এই উদ্যোগে অর্থ সাহায্যের জন্য পুনর্গঠন করা হবে ‘হায়ার এডুকেশন ফিন্যান্সিং এজেন্সি’ (HEFA}}। পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিদ্যায় সম্পূর্ণ নতুন দুটি স্কুল চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরেই প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলো (PMRF) প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এই PMRF প্রকল্পে দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের ১,০০০ বি-টেক পড়ুয়াকে আইআইটি এবং আইআইএসসিতে পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়া হবে।
৮ বিলগ্নিকরণ
১. রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ২০১৮ অর্থবর্ষে ৮০,০০০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
২. রাষ্ট্রায়ত্ত ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং অয়েল ইন্ডিয়ার শেয়ার কেনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
৩. বিলগ্নিকরণের অঙ্গ হিসেবে ২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থার শেয়ার বাজার নথিভুক্তির পর আরো ৩টি সাধারণ বিমা সংস্থা- দ্য ওরিয়েন্টাল ইন্সিয়োরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল ইন্সিয়োরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্সিয়ােরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে একটি সাধারণ বিমা সংস্থায়। পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৯. আবাসন
বাড়ি তৈরির ইচ্ছে মেটাতে জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের সরকারি ভ্যালুয়েশনের সঙ্গে প্রকৃত বাজার দরের তারতম্য ঘোচানো এবং অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং (মেট্রো শহরে ৬০ বর্গমিটার এবং তার বাইরে ৩০ বর্গমিটার পর্যন্ত আয়তনের বাড়ি) তহবিল তৈরির জন্য , একাধিক উৎসাহব্যাঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
PDF ডাউনলোড লিঙ্ক
Comments
comments